প্রকাশিত: ২৩/০৬/২০১৮ ৭:৫৮ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ১:৩৭ এএম

তোফায়েল আহমদ, কক্সবাজার ::
সারা বিশ্বের মতো বিশ্বকাপ ফুটবলের আমেজে মাতোয়ারা রোহিঙ্গারা। আর্জেন্টিনা আর ব্রাজিলের পতাকায় ছেয়ে গেছে রোহিঙ্গা শিবির। সেই সঙ্গে উড়ছে আরো অন্যান্য দলের পতাকাও। রোহিঙ্গা শিবিরের পাহাড়ের মাঠে যেমনি চলছে জমজমাট ফুটবল আসর, তেমনি চলছে বড় পর্দায় খেলা দেখারও প্রতিযোগিতা।

গতকাল শুক্রবার সরেজমিনে উখিয়ার রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায় ভিন্ন এক রকমের ফুটবলের আসর। উখিয়ার কুতুপালং নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শিবিরের বিশাল পাহাড়ি মাঠে গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দেখা গেছে, মাঠের এক দিকে চলছে ক্রিকেট এবং অন্য দিকে চলছে ফুটবল।

কুতুপালং নিবন্ধিত শিবিরের ৩ নম্বর ব্লকের বাসিন্দা মোহাম্মদ ইদ্রিস কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমাদের রোহিঙ্গারা সবচেয়ে বেশি ভক্ত আর্জেন্টিনার। দ্বিতীয় নম্বরে রয়েছে ব্রাজিল। এর পর রয়েছে জার্মানি এবং পর্তুগাল।’

একই শিবিরে গতকাল বিকেল ৩টার দিকে দেখা গেছে আরো এক ভিন্ন রকমের দৃশ্য। ততক্ষণে এক পশলা বৃষ্টির পানিতে গোটা ফুটবল মাঠ কাদায় ভরে গেছে। এর পরও মাঠে তিনটি দলের খেলোয়াড়রা মেতেছে ফুটবল নিয়ে। দেখা গেছে, কিশোরের দলটি মাঠের মাঝখানে খেলছে। মাঠের দক্ষিণ পাশে নেমেছে ব্রাজিলের জার্সি ও আর্জেন্টিনার জার্সি নিয়ে জুনিয়র দলের খেলোয়াড়রা। এ দলের অনেক তরুণ মাথার চুল কেটে, কেউ তাদের ফেভারিট খেলোয়াড় নেইমার আবার কেউ মেসির রূপ ধারণ করেছে। খেলাপাগল রোহিঙ্গারা পছন্দের দলের জার্সি গায়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। খেলাপাগল এসব রোহিঙ্গা প্রতিদিন পছন্দের দলের পক্ষে বাজি রাখছে। বিশ্বকাপ খেলার শুরু থেকে খেলার উন্মাদনায় রয়েছে রোহিঙ্গারা।

তাদেরই একজন জাহাঙ্গীর আলম (১৭)। নিজের নামের শেষে নেইমারও যোগ করে দিয়েছে। নাম জানতে চাইলেই ঝটপট বলে ফেলে, ‘আঁর নাম জাহাঙ্গীর আলম নেইমার। আঁই ব্রাজিল পছন্দ গরি। নেইমার আঁর প্রিয় খেলোয়াড়।’
একই মাঠে যুবক রোহিঙ্গারাও ফুটবল নিয়ে মেতেছে সন্ধ্যা ৬টায় ব্রাজিলের খেলা শুরু আগমুহূর্ত পর্যন্ত। সেই যুবকদের ২২ জন খেলোয়াড়ের সবাই পায়ে বুট ও গেঞ্জি পরে পুরোদস্তুর পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড়ের মতো করেই খেলায় মেতেছে। আর মাঠের চারপাশে শত শত রোহিঙ্গা দর্শক খেলোয়াড়দের উত্সাহিত করছে। এটা যেন এক মিনি বিশ্বকাপ খেলা।

সারা দিন মাঠে খেলা শেষে গতকাল সন্ধ্যা ৬টা বাজার সঙ্গে সঙ্গেই মাঠের পশ্চিম পাশে থাকা হলরুমে ফুটবলপ্রেমী রোহিঙ্গারা বড় পর্দায় খেলা দেখতে বসে যায়। রহিম নামের আয়োজকদের একজন জানায়, চাটাইয়ে বসে প্রতিটি খেলার জন্য ২০ টাকা করে নেওয়া হয়। আবার হলের চেয়ারে বসে খেলা দেখতে প্রতি টিকিট ৫০ টাকা।

পাঠকের মতামত

২২ টি মোবাইল টীমের মাধ্যমে উখিয়ায় স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে প্রান্তিক

তাপমাত্রা প্রায় ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যে তাপমাত্রায় মানুষ ঘর থেকে বের হতে ভয় পায়। সেখানে ...

টেকনাফে ঘূর্ণিঝড় মোখায় ক্ষতিগ্রস্থ হতদরিদ্র পরিবার “আয়েশা” পেলেন মাথা গোছার নতুন ঠাঁই !

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়ন এ ঘূর্ণিঝড় ‘মোখায়’ ক্ষতিগ্রস্ত হতদরিদ্র পরিবারের কাছে তুলে দিয়েছেন সেমিপাকা ...